গাংনী
নামের সাথে যুক্ত হয়ে আছে এ অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবেশের পরিচয়। গাংনী
পদটিই এখানে প্রধান। নদী বা নদীর মৃতপ্রায় ধারাকে এ এলাকার মানুষ গাং বা
গাঙ বলে। অনুমান করা হয় যে, গাঙ্গেয় অববাহিকার এ এলাকায় প্রথম বসতি
স্থাপনকারী মানুষেরা অন্যদের বসবাসে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ‘এ এলাকায় গাং
অর্থাৎ নদী নেই’- এমন ঘোষণা দেয়। ‘গাং নেই’ পরবর্তীকালে হয়ে যায়-
‘গাংনী’। এ এলাকার মানুষেরা নেই বুঝাতে ‘নি’ উচ্চারণ করে। গাংনী নামকরণে
ভিন্ন আর একটি যুক্তিও পাওয়া যায়। পশ্চিমে কাজলা নদী এবং পূর্বে
মাথাভাঙ্গা নদীর মধ্যবর্তী দোয়ার অঞ্চলে এ থানার অবস্থান। সেই অর্থে এ
নদীর প্রধান উৎস গঙ্গা। গঙ্গার কন্যা মনে করার কারণে খরস্রোতা মাথাভাঙ্গাকে
একসময় এ এলাকার মানুষ ‘গাংগীনি’ বলে ডাকত। গাংগীনি থেকে গাঙ্গনী বা গাংনী
শব্দের উৎপত্তি। গাংনী নামকরণে মুলত এ অঞ্চলের নদী সম্পৃক্ততার পরিচয়
ফুটে উঠেছে।